বিএনপি’র বর্ষিয়ান রাজনৈতিক নেতা ইউসুফ আলী ভূঁইয়ার জীবন গল্প।

• বিএনপি’র বর্ষিয়ান রাজনৈতিক নেতা ইউসুফ আলী ভূঁইয়ার জীবন গল্প।

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে আড়াইহাজার উপজেলার মৃত আব্দুল মালেক ভুঁইয়ার সুযোগ্য সন্তান ও অন্যতম নেতা হলেন মোঃ ইউসুফ আলী ভূঁইয়া। তার জীবনগল্প তুলে ধরলে বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকটাই পরিষ্কার হয়। নিচে তার একটি সংক্ষিপ্ত জীবনগল্প তুলে ধরা হলো:
মোঃ ইউসুফ আলী ভূঁইয়া : এক বর্ষীয়ান রাজনীতিকের জীবনগল্প
জন্ম ও শিক্ষাজীবন:
ইউসুফ আলী ভূঁইয়া জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর , নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায়। তিনি একজন শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনস্ক সমাজসেবা ব্যক্তি হিসেবে ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে এইচ এসসি পাশ করেন। তবে তার আংশিক রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় অষ্টম শ্রেণী থেকে।
পরবর্তীতে ইউসুফ আলী পূর্ণাঙ্গ রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন নবম শ্রেণীর ছাত্র জীবন থেকে। ছাত্রজীবনে, তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে ক্যাপ্টিনের দায়িত্ব পালন করেন ।
পরে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত ১৯৭৭ সালে জাগো দলের মাধ্যমে পদার্পণ করেন বর্তমানে এই বর্ষিয়ান নেতা ইউসুফ আলী ভূঁইয়া। তৎকালীন ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত জাতীয় নির্বাচনে আড়াইহাজার থানায় মরহুম শামসুল হক এই আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হলে তার হাত ধরে রাজনীতিতে ইউসুফ আলী ভুয়া সফলতার সিঁড়ি খুঁজে পান।
ইউসুফ আলী ভুইয়া তার রাজনৈতিক কর্মগুনে ১৯৮১ সালে আড়াইহাজার সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পথ পান এবং তার কর্মদক্ষতায় সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে থানা কৃষকদলের সভাপতি পরবর্তীতে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে থানা কনভেনার বর্তমানে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সেই রাজনৈতিক ত্যাগী নেতা ইউসুফ আলী ভূঁইয়া। তবে পরিশ্রমী ও সৎ নির্ভীক ইউসুফ আলী ভুইয়াকে তৎকালীন সরকার গ্রাম সরকারের দায়িত্ব দিয়েছেন। জানা যায় ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, আওয়ামীলীগ সরকারের প্রতি হিংসায় অগণিত মামলায় জেল খেটেছেন বহুবার। এমনকি ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বাড়িঘর ভাঙচুর দোকানপাট লুটপাট করান । তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়
ইউসুফ আলী ভুইয়া আড়াইহাজার ইউপি সদস্য পদে নির্বাচিত হন এবং ইউসুফ আলী ভূইয়ার দাদা আব্দুল অহাব ইউপি সদস্য ছিলেন, তার ছোট বোন রহিমা বেগম ২০ বছর ইউপি সদস্য হিসেবে মহিলা সংরক্ষিত আসনে দায়িত্ব পালন করেন। তাছারা ইউসুপ আলীর ছোট ছেলে মাহমুদুল হাসান সুমন আড়াই হাজার পৌর কাউন্সিলর ছিলেন। ইউসুফ আলী ভুইয়া গণমাধ্যম কর্মীদের জানান , ২০০৯ সালে নজরুল ইসলাম বাবু তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তার বাড়ি হামলা চালালে তিনি কোন মতে প্রাণে বেঁচে যান। তিনি আরো বলেন , ১৯৭৪ সালে দেশে যখন দুর্ভিক্ষ শুরু হয় তখন অনাহারে মানুষের লাশের মিছিল দেখা গেলে তৎকালীন সরকার দুর্ভিক্ষের কবলে পড়া ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করলে তখনকার চোর বাটপার ক্ষুধার্ত মানুষের আহার এবং বস্ত্র চুরি করে বিক্রি করাতে তাতে প্রতিবাদ করায় জেল খাটেন প্রতিবাদী ইউসুফ আলী ভূঁইয়া এবং পরবর্তীতে শেখ মুজিবের রাজনীতি ছেড়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং প্রেসিডেন্ট জিয়ার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে আকৃষ্ট হয়ে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িয়ে অদ্যবধি পর্যন্ত নিরলস ভাবে কাজ করা যাচ্ছেন আড়াইহাজারে একজন সৎ নির্ভীক বিভিন্ন মামলা হামলার শিকার, আন্দোলন সংগ্রামের প্রতিবাদী বর্ষিয়ান নেতা রাজপথের লড়াকু সৈনিক এবং ক্লীন ইমেজের রাজনীতিবি মোঃ ইউসুফ আলী ভূঁইয়া। ইউসুফ আলীর রাজনৈতিক সততা দেখে তৎকালীন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইউসুফ আলী ভূইয়াকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ প্রদান করেন। বৈশিষ্ট্য ও অবদানে ইউসুফ আলী ভুইয়া বিএনপির একজন নির্লোভ, মিতভাষী ও আদর্শিক নেতা হিসেবে পরিচিত।
কঠিন রাজনৈতিক সময়ে তিনি আড়াইহাজারে, দলের হাল ধরে রেখেছেন, বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকাকালীন সময়ে।রাজনৈতিক সহিংসতা, মামলা, গ্রেফতার এবং সরকারের চাপের মধ্যেও তিনি দলের নেতৃত্বে ছিলেন। তাছাড়া তিনি ব্যক্তি জীবনে সাদাসিধে ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আগ্রহী একজন মানুষ। চ্যালেঞ্জ ও সংগ্রামে তিনি বারবার মিথ্যা মলায় গ্রেফতার হয়েছেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে দীর্ঘ সময় রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন তিনি।